লেখক : আহমাদ ফালুদ্দিন
প্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী
বিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 208,
কভার : হার্ড কভার,
পটভূমিঃ আফগান নিয়ে আমাদের জানাশোনা, কৌতুহল ও আবেগকে উস্কানি দিতেই অটুট পাথরের গল্প!
সমকালীন আফগানকে বুঝতে হলে, নিকট ইতিহাসকে সত্যের পাটাতনে দাঁড়িয়ে দেখতে হলে এবং তালেΠবানদের সাহসিকতা, বৈশিষ্ট্য ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো সে ভূমিতে পরাস্ত হওয়ার রহস্যকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হলে এ বই অবশ্যপাঠ্য। নিকট আফগান নিয়ে যারা গবেষণা করবেন, তারা বইটি অতিক্রম করে যেতে পারবেন না, বলাই বাহুল্য।
বইটি আপন জায়গায় অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর ভাষা ও বক্তব্যের শৈল্পিক বিন্যাস। ফলে পাঠ শেষ করার পর সব বুঝে নিয়েও এর জনরা নিশ্চিত করতে গিয়ে পাঠক একটি সানন্দ বিভ্রমে পতিত হবেন, এটুকু নিশ্চিত করেই বলা যায়! কারণ, বইটিতে ইতিহাসের বিবরণ আছে, বর্তমানের ছবি আছে, আছে একান্ত অনুভবে ইতিহাস ও বর্তমানের সেতুবন্ধনকারী চিন্তা, বিশ্লেষণ ও অবলোকনের সারবত্তা। এসেছে আফ^গান সমাজের ছবি, চরিত্র ও প্রবণতা, সময়ের বাঁকবদল, উত্থান-পতনের নেপথ্য-কারণ। এবং সব কিছু তিনি বিবৃত করেছেন অ্যাডভেঞ্চারের কাঁপন, ফিকশনের আনন্দ ও ইতিহাসের নির্মোহ বিবৃতির মিশেলে ভাবসমৃদ্ধ অদ্ভুত এক সরল ভাষায়। ফলে পাঠক যখন বইয়ের সর্বপ্রথম অংশটিতেই পাঠ করেন—‘১৯৭৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর। আফ®গানিস্তানের উত্তর প্রান্ত। সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারের ভিতর সোভিয়েত-
ট্যাংকগুলো নড়ে উঠল একযোগে। রাশিয়ান বাহিনী আফ≠গানিস্তানে হাম¥লা করতে যাচ্ছে দানবীয় শক্তি নিয়ে। ঠিক এ সময়টিতে এ বইয়ের লেখক ছিলেন মায়ের কোলে-থাকা অবুঝ এক শিশু’—তখনই তিনি একটি চুম্বকের ভিতর আটকা পড়েন। পুরো বইয়ের সফর শেষে সর্বশেষ হরফটি উচ্চারণ করার আগ পর্যন্ত সেখান থেকে বের হওয়া তার পক্ষে আর সম্ভব হয় না।